জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চা বোর্ডের একটি সমীক্ষা দল চা চাষের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে পঞ্চগড় জেলায় আসেন এবং মাটি পরীক্ষা করতঃ অন্যান্য তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করেন। তাঁরা জানান পঞ্চগড় জেলায় প্রায় ৪০,০০০ একর জমি চা চাষের উপযোগী আছে। সে মোতাবেক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ইসি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে ৩.৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৪১ একর জমিতে চা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জানুয়ারি/২০০১-ডিসেম্বর/২০০৬ মেয়াদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ চা বোর্ড দেশের উত্তরাঞ্চলে ’’ক্ষুদ্রায়তন চা চাষপ্রকল্প’’ শিরোনামে ১টি প্রকল্প গ্রহণ করে। পঞ্চগড় জেলার চা চাষ একটু ভিন্ন প্রকৃতির অর্থাৎ শ্রীমঙ্গল, সিলেট ও চট্টগ্রামের মত খাস জমি পঞ্চগড়ে না থাকায় সমতল ভূমিতে অন্যান্য ফসলের মত যার যতটুকু চা চাষের জমি আছে, সেটুকু জমিতে চা চাষ করবে এবং প্রতি সপ্তাহে সবুজ চা পাতা ফ্যাক্টরীতে বিক্রী করবে। ২০০৬ সালের শেষে পঞ্চগড় জেলায় মোট চা আবাদ হয় ১,৬৮৯.৪৮ একর জমিতে। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ের সাথে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলাকে যুক্ত করে ১০.৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিসেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত প্রকল্পটি বর্ধিত করে। পরবর্তীতে ২য় পর্যায়ে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৪ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। পঞ্চগড় জেলায় যে সব জমিতে চা আবাদ হচ্ছে সেগুলোর অধিকাংশই পূর্বে অনাবাদি ছিল। পঞ্চগড়ে চা চাষের ফলে ৩,০০০-৪,০০০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চগড় জেলায় মোট চা চাষের আওতাধীন জমির পরিমাণ ২২৫৫.৫৪ একর। ২০০৯ সালে পঞ্চগড় জেলায় মোট ৬৫৬০২৪ কেজি মেড টি উৎপাদিত হয়েছে।