<p>পৌরসভা স্থানীয় সরকার হিসেবে স্বায়িত্ব শাসিত এবং সম্পুর্ণ নিজস্ব আয়ে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান । নগর সুবিধা/ টাউন সার্ভিস প্রদানই পৌরসভার অন্যতম কাজ। মূলত পৌরসভা একটি সম্পূর্ণ সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। পঞ্চগড় পৌরসভার প্রায় ২২.০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ১৫ জুন ১৯৮৫ খ্রিঃ তারিখে প্রতিষ্ঠালাভ করে। অত্র পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টি, মহল্লার সংখ্যা ৩৭টি এবং বস্তিসহ লোকসংখ্যা প্রায় ৯০,২১২&nbsp;হাজার জন ও ভোটার সংখ্যা- ২৭,২০৫ জন রয়েছে। বর্তমানে পঞ্চগড় পৌরসভা &lsquo;ক&rsquo; শ্রেনিভুক্ত।</p> <p>পৌরসভা কর্তৃক নাগরিক সেবা প্রদানে বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে শহর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করন, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করণ, নাগরিকদের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, পানি ও পয়ঃ নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ, শহর আলোকিত করণ, বাজার ব্যবস্থাপনা ও মাষ্টার প্ল্যান প্রণয়ন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও মা-শিশুদের টিকা প্রদান নিশ্চিত করণ, মশক ও বে-ওয়ারিশ কুকুর নিধন, বে-ওয়ারিশ লাশ দাফন, নাগরিকদের জাতীয়তার সনদপত্র, ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করন ও সনদপত্র ইস্যু করণ ইত্যাদি। এছাড়াও, গরীব, দুঃস্থ এবং বয়োবৃদ্ধ অসহায় জনসাধারণকে ভিজিএফ খাদ্যশষ্য সরবরাহসহ আর্থিক সাহায্য প্রদান করে থাকে এবং মেলাসহ চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করে থাকে।</p> <p>পৌর কর পৌরসভার আয়ের মূল উৎস। পঞ্চগড় পৌরসভার ১টি পশুহাট, ১টি দৈনিক বাজার, ১টি কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল, ১টি কেন্দ্রিয় ট্রাক টার্মিনাল, ১টি পশু জবাই কসাইখানা রয়েছে। উল্লিখিত মহাল সমূহ ইজারা বন্দোবস্ত করে পৌরসভার রাজস্ব আয় করে থাকে। পৌরসভার অফিস ক্যাম্পাসে ১টি দ্বিতল ভবন, গাড়ি গ্যারেজ, স্টোর রুম এবং সম্মুখে শোভা বর্ধনের জন্য একটি ফুলের বাগান রয়েছে। পৌর এলাকায় শিল্প কর-কারখানার মধ্যে ১টি চিনিকল, ১টি এশিয়া ড্রিষ্টিলারীজ ও বিসিক নগর অবস্থিত। এছাড়াও পৌর এলাকায় একটি সরকারী মহা বিদ্যালয়, একটি সরকারী মহিলা মহা বিদ্যালয়, একটি সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৫টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং এছাড়াও সরকারী ও বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কিন্ডার গার্টেনের সংখ্যা প্রায় ৪০ টি।</p> <p>পঞ্চগড় পৌরসভা কার্যালয় জেলা সদরে করতোয়া নদীর তীরবর্তী দক্ষিণ পাশে&nbsp;গড়-দিনাজপুর মহাসড়ক সংলগ্ন একটি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। পঞ্চগড় জেলা তথা দেশের উত্তরের শেষ প্রান্তে তেঁতুলিয়া ও জিরো পয়েন্ট বাংলাবান্ধা যা ভারত-বাংলাদেশের যোগাযোগ বা যাতায়াতে একমাত্র স্থল পথ অত্র পৌরসভার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত। পঞ্চগড় জেলা তথা পৌরসভার অভ্যন্তরে দেশের সর্বোৎকৃষ্ট মানের পাথর ও বালি উত্তোলন করা হয় এবং উত্তোলিত পাথর ও বালি প্রতিনিয়তই শত শত ট্রাকের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকে।</p> <p>পঞ্চগড় পৌরসভার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে ক) পৌরসভার সীমানা বর্ধিত করণ, খ) ক শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে ক টাইপ পৌরসভার বর্ধিত ভবন নির্মাণ, গ) একটি পৌর মার্কেট স্থাপন, ঘ) একটি নিজস্ব অডিটোরিয়াম কাম মিলনায়তন, ঙ) পর্যটকদের জন্য একটি উন্নতমানের রেস্ট হাউজ নির্মাণ, চ) পৌর মেয়রের ব্যবহারের জন্য একটি উন্নতমানের জীপ গাড়ি ক্রয়, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওভারহেড ট্যাংকসহ পানির লাইন সংম্প্রসারণ ইত্যাদি, ইত্যাদি।</p>